জুয়া-খোর সাবধান ? জুয়া খেললে কি শাস্তি হবে দেখুন | Is gambling justified in Islam? | Educational
Subject : জুয়া-খোর সাবধান জুয়া খেললে কি শাস্তি হবে দেখুন ।
জুয়া খেলার শাস্তি বাংলা ওয়াজ।
জুয়া খেলার ক্ষতিকর দিক।
Harmful aspects of gambling
Islamic #educational video about Gambling .
New Bangla waz about Gambling
Is gambling #justified in #Islam?
————————————————————————
Dear viewer’s
Assalamu alaikum wa rahmatullahi wa barakatuh
আজকের ভিডিওতে জুয়া সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা করা হয়েছে।
গোটা পৃথিবী জুড়ে, সর্বত্রই ছেয়ে গেছে জুয়ার আড্ডা খানা। আমাদের দেশে, আমাদের শহরে, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে, বিভিন্ন প্রকার জুয়া। এটা আমাদের সমাজে , মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন ক্লাবে, হোটেলে, অফিস-আদালতে, বাসাবাড়িত, চায়ের দোকানে, গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাগানগুলোতে, মদ ও জুয়া রমরমিয়ে চলছে। ছোট-বড় নারী-পুরুষ, সব শ্রেণীর মানুষ এই মহাপাপ এর সাথে জড়িত। লুডুর মাধ্যমে, ক্রাম বোর্ড এর মাধ্যমে, ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে, বিভিন্ন রকম ভাবে, সমাজের বুকে ছড়িয়ে পড়েছে এই জুয়া খেলা। এই জুয়া সমাজকে ভেতর থেকে খোকলা করে দিচ্ছে।
জুয়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কয়েকটি হাদিস ও কোরআন পেশ করা হল….
* সূরা মায়েদা – 90 নম্বর আয়াতে, জুয়া খেলাকে, নাপাক ও জঘন্য শয়তানি কাজ বলা হয়েছে।
* সূরা নূরের 24 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, এটা শয়তানী ফাঁদ, যে ফাঁদে আটকিয়ে শয়তান মানুষকে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত করতে চায়।
ইন্নালিল্লাহ তাহলে মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে শয়তানের একটি বড় ফাঁদ হলো জুয়া খেলা।
* বোখারী শরীফের ৪৮০৬ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে,কোন ব্যক্তি যদি কেবলমাত্র মানুষদেরকে জুয়া খেলার দিকে আহবান করে (না খেললেও শুধু আহ্বান করার কারণে) তাকে কাফফারা স্বরুপ সাদাকাহ দিতে হবে। তাহলে কেউ যদি জুয়া খেলে, তাহলে তার শাস্তি কেমন হতে পারে চিন্তা করুন।
* বোখারী শরীফের ২২৬০ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে, জুয়া খেলা হল পরোক্ষভাবে শূকর বা শুয়ারের মাংস ও রক্তে, হাত রঞ্জিত করা।
নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক, চিন্তা করুন জুয়া খেলা কত বড় একটি অপরাধ। এমন কি কেউ যদি জূয়া না খেলে, জুয়াড়িদের কে সাহায্য সহযোগিতাও করে, তাহলে সেটাও হারাম কাজ। জুয়া খেলা দ্বারা উপার্জিত অর্থ হারাম। এর এক পারসেন্ট অর্থ উপার্জন ও হালাল নয়। অথচ এই জুয়াকে ইনকামের একটা রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে অনেক মুসলমান।
#জুয়া খেলার ক্ষতিকর দিক
১) জুয়া খেলার মাধ্যমে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করা হয়।
২) জুয়া, মানুষকে আল্লাহর জিকির, সালাত ও অন্যান্য এবাদতের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
৩) জোয়ার মাধ্যমে, মানুষের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। অথচ এই সম্পদ সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে।
৪) বাহ্যিক দৃষ্টিতে জুয়া লাভজনক মনে হলেও, এর অর্থনৈতিক ক্ষতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
৫) জুয়ার মাধ্যমে, মানুষ কর্ম বিমুখ হয়, এবং অবৈধ উপার্জনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে দেশে, অলস প্রজন্ম তৈরি হয়। যা দেশ ও দশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি।
৬) জুয়ার মাধ্যমে সুখী পরিবার ধ্বংস হয়, অন্যায় পথে সম্পদ নষ্ট হয়, ধনী পরিবার নিঃস্ব হয়, সম্মানিত ব্যক্তি লাঞ্ছিত হয়।
৭) জুয়ার মাধ্যমে অন্যের মাল অন্যায় ভাবে, হাতিয়ে নেওয়া হয়, এবং এর ফলে জুয়াড়িদের মধ্যে, হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি হয়।
• ৮) জুয়াতে পরাজিত ব্যক্তি, সমাজে, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সুদ, ঘুষ যেকোন উপায়ে তার ক্ষতি পূরণে মরিয়া হয়ে ওঠে।
• ৯) জুয়া এক প্রকার মানসিক রোগ। জুয়াড়ী ব্যক্তির মধ্যে মারাত্মক দুশ্চিন্তা জন্ম নেই । ফলে তার দেহে বাসা বাঁধে, নানান রোগব্যাধি। অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই এই জুয়াড়িরা
• ১০) জুয়ার মাধ্যমে, জুয়াড়ি ব্যক্তিদের মধ্যে, নিকৃষ্ট ও জঘন্য চরিত্রের জন্ম হয়। সাধারণত, জুয়াড়ি-ব্যক্তিরা, মদ ও বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য,নাচ-গান, যৌনাচারের মতো বিভিন্ন নষ্ট চরিত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। অতএব মদ জুয়া ও বিভিন্ন শয়তানি কাজ ছেড়ে দেওয়ার মধ্যেই নিহিত রয়েছে, মানবজাতির কল্যাণ।
Thank you for watching this video…..